Tuesday, October 2, 2012

এবার জিমেইল থেকে পাঠানো ই-মেইল ফিরিয়ে আনুন




আজ সকালে একটি মেইল করতে বসে পরলাম এক মহা ফ্যাসাদে। আমার এক কাজিন চাকুরীর এপ্লিকেশন করবে। জীবন বৃত্তান্ত পাঠাতে হবে একটি অফিসে।




তো আমি যথারীতি জিমেইল থেকে মেইল করতে লগইন করলাম। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে করে মেইল পাঠিয়েও দিলাম। মেইলটি গেলো কি-না দেখতে সেন্ট মেইল চেক করলাম। আর অমনি মাথায় হাত। মেইল গেছে, কিন্তু বৃত্তান্তের সাথে পাসপোর্ট সাইজের ছবি এটাচ করা হয় নাই। এখন উপায়? না কোনো উপায় নাই। নেট ঘাটাঘাটি করে কোনো উপায় খুজে পেলাম না। তবে আশার কথা হলো একটি উপায় আছে জিমেইলে। তবে মাত্র ৫ সেকেন্ড।




জিমেইল থেকে ই-মেইল পাঠানোর পর আপনার যদি মনে হয় কোনো ভুল হয়ে গেছে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে মানে ৫ সেকেন্ডের মধ্যে মেইলটি ফিরিয়ে আনার সুযোগ রয়েছেআর মেইলটি ফিরিয়ে আনার জন্য জিমেইলে লগইন করার পর Settings থেকে Labs ট্যাবে যেতে হবেঐখানে Undo Send এর অপশনে Enable বাটন নির্বাচন করে সেভ করতে হবে



এবারে ট্যাবে এসে Undo Send এ ৫ সেকেন্ড নির্বাচন করা না থাকলে ৫ সেকেন্ড নির্বাচন করে দিতে হবে

এরপর থেকে মেইল সেন্ড করার ৫ সেকেন্ডের মধ্যে যদি মনে হয় মেইলটিতে ভুল আছে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে Undo তে ক্লিক করতে হবে। আর তাতে মেইল আবার কম্পোজে ফিরে আসবেসবকিছু ঠিকঠাক করে মেইলটি পাঠিয়ে দেয়া যাবে কাঙ্খিত ঠিকানায়।

ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন সবাই।

Saturday, September 29, 2012

মোবাইলের ইন্টারনেট ব্রাউজারে বাংলা সমস্যার সমাধান



তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের মানোন্নয়নও বেড়ে যাচ্ছে। প্রসারিত হচ্ছে প্রযুক্তির ব্যবহার।





আজ লিখছি মোবাইলে ইন্টারনেট ব্রাউজিং নিয়ে। মোবাইলে ইন্টারনেট চালাতে গিয়ে আজকাল আমাদের অনেককেই এই সমস্যাটির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রায়ই দেখা যায় আমাদের মোবাইল ইন্টারনেট ব্রাউজারে বাংলা ওয়েবসাইট এর বাংলা লেখাগুলো দেখা যাচ্ছে না। অথবা দেখা গেলেও সেগুলে (≤≈□◊○░®¥♀Ñ) আজেবাজে কিছু অক্ষরের সমষ্টি মাত্র।

অথচ চাইলেই আমরা আমাদের ইন্টারনেট সমর্থিত মোবাইলগুলোতে স্পষ্টভাবে বাংলা ওয়েবসাইট দেখতে পারি।

এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে আপনার মোবাইল ইন্টারনেট ব্রাউজারের মাধ্যমে www.opera.com/mini/ এই সাইট থেকে অপেরা মিনি ডাউনলোড এবং ইনস্টল করে নিন। অপেরা মিনি ব্রাউজারটি ওপেন করে তার এড্রেসবারে টাইপ করুন about:config এরপর Go / ওকে করুন। এবার অনেকগুলো অপশনসহ একটি পেজ ওপেন হবে। একটু খেয়াল করে দেখুন নিচের দিকে User bitmap fonts for complex scripts অপশনটি No করা আছে। এটি Yes করে সেভ করুন।

কাজ শেষ, এবার যেকোন বাংলা ওয়েবসাইট আপনার মোবাইলে ওপেরা ইন্টারনেট ব্রাউজারে ওপেন করে দেখুন বাংলা দেখা যাচ্ছে। এভাবে আপনার মোবাইলে ব্রাউজ করুন  যেকোন বাংলা ওয়েবসাই এবং বাংলা ই-বুক।



বুঝতে সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। সাধ্যমত চেষ্টা করব....

Friday, September 28, 2012

সেভেনে রান অপশনের সমাধান করুন এক্ষুনই



খুশিতে আত্মহারা হয়ে যখন পিসিতে সেভেন ইনস্টল করলাম। তখন টের পাইনি, পরে আস্তে আস্তে সেভেনে (অন্তত আমার কাছে) অনেক অসংগতি ধরা পড়ল। তার মধ্যে অন্যতম একটা সমস্যা রান এর জায়গায় রানকে খুজে পেলাম না। অপশনটি স্টার্ট মেন্যুতে থাকার কথা কিন্তু স্টার্ট মেন্যু ওপেন করার পর ক্লিক করে কোথাও রান অপশন খুজে পেলাম না। 

যেভাবে সমস্যাটির সমাধান করলাম:
প্রথমে গুগলে সার্চ করে খুটিনাটি জেনে নিয়ে নিজে নিজেই খুজে পেলাম স্টার্ট মেন্যুতে রান অপশন। 

এর জন্য যা যা করতে হলো-
স্টার্ট মেন্যুতে উইন্ডোজ এর লগোর উপর রাইট বাটন ক্লিক করে প্রপার্টিস এ ঢুকে গেলাম। Taskbar and Start Menu Properties নামেবাটন থেকে Start menu অপশনটি সিলেক্ট করে বায়ে উপরের কোনার Customize অপশন এ ক্লিক করে Customize and Start menu নামে একটি উইন্ডো পেয়ে গেলাম। সেখান Run command অপশন এর বক্সটি সিলেক্ট করে ওকে করে বেরিয়ে এলাম। তারপর আগের উইন্ডোটিও ওকে করে দিয়ে স্টার্ট মেন্যুতে ক্লিক করে দেখি এটি এখন উইন্ডোজ এক্সপির মতোই রান অপশন দেখাচ্ছে। 

অব্শ্য গুগলী করতে করতে আরো একটা সহজ উপায় পেয়ে গেছি। তাহলো কিবোর্ড থেকে উইন্ডোজ বাটন + আর বোতামে একসাথে চাপলে  রান অপশনটি ওপেন হয়ে যাচ্ছে।

আশা করছি আপনাদের কাজে লাগবে।

ড্রাইভের একঘেয়ে আইকন ভালো লাগে না, পাল্টে ফেলুন (উইন্ডোজ এক্সপি'র জন্য)



(বিষয়টি অনেকেরই জানা আছে, তবু নতুনদের উদ্দেশ্যেই নতুন করে লিখলাম।)

আপনি উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহার করলে অবশ্যই হার্ডডিক্স এর বিভিন্ন ড্রাইভ এর আইকনের সাথে পরিচিত। আপনি চাইলে এই আইকনগুলো পরিবর্তন করে আপনার পছন্দের আইকন বসিয়ে দিতে পারেন। কাজটি একেবারেই সহজ, সহজেই আপনার উইন্ডোজ এক্সপির ড্রাইভ আইকন পরিবর্তন করার জন্য নিচের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করুন-

১। ড্রাইভ এর আইকন পরিবর্তন করে যে আইকনটি বসাতে চান প্রথমে সেটি তৈরি করে নিতে হবে। আইকনটির নাম test.ico দিন এবং এটি কপি করে আপনি যে ড্রাইভের আইকন পরিবর্তন করবেন সে ড্রাইভের ভিতর সরাসরি পেস্ট করে দিন।

(আইকন তৈরি করার প্রক্রিয়া জানা না থাকলে গুগল ঘেটে খুব সহজেই তৈরি করতে পারবেন নিজের পছন্দের আইকন।)

২। আপনি আপনার মাইকম্পিউটার ওপেন করে যে ড্রাইভের আইকন পরিবর্তন করতে চান সেটি ওপেন করুন। ফাকা স্থানে মাউসের রাইট বাটন চেপে দিয়ে New > Text Document নির্বাচন করুন।

স্ক্রীনশট দেখুন-





















রিনেম অবস্থায় Text Document টি আপনার কাছে একটি নাম চাইবে। autorun.inf লিখে দিয়ে নামটি পরিবর্তন করুন। এবার ডাবল ক্লিক করে অথবা notepad দিয়ে autorun.inf ফাইলটি ওপেন করুন। এর ভিতরে লিখুন [autorun] তারপর একটা এন্টার দিয়ে লিখুন icon=test.ico। উল্লেখ্য এখানে test.ico নামটি আমাদের তৈরিকৃত আইকনটির নাম, যেটি আমরা ড্রাইভের ভিতর রেখেছি।
স্ক্রীনশট দেখুন-






















এবার সেভ করুন।

যদি আপনি আপনার সবগুলো ড্রাইভের আইকন পরিবর্তন করতে চান তাহলে এই ফাইল দুটি (autorun.inf + test.ico) অন্যান্য ড্রাইভগুলোর ভিতর কপি করে দিন। এমনকি আপনার পেন ড্রাইভের আইকন পরিবর্তন করতে চাইলেও একইভাবে ফাইল দু'টি পেনড্রাইভের ভিতর কপি করে দিন। সবশেষে আপনার কম্পিউটার একবার রিস্টার্ট দিন।

সবাইকে ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

Friday, June 17, 2011

কিছু সময়

ভেবে চলি সময়ের কথা ভেবে। সময়; সরল একটি মন্তব্য 'সময় নদীর স্রোতের মত বয়ে চলে' থেমে থাকে না কখনই।আমিও সেই অবধি ভাবছি; কি নিপূণতার সাথে নিজের কাজটি করে যাচ্ছে সে। সেইতো নিয়ম মেনে আবারো সকাল হলো; সূর্যোদয়, সকাল, দুপুর, বিকাল, সূর্যাস্ত, সন্ধ্যা অতপর আবারো রাত। যখন ঘুমিয়ে পরি তখনও সময় থেমে নেই; কখন যে সময়ের টানে রাত শেষে আবার সূর্যোদয়...........
ভেবে চলছি সময়ের কথা ভেবে। চিকন সরু গলিটা পেরুলেই বড় রাস্তা। তারপর বড় রাস্তায় সোজা পথে অন্তত ছ'মিনিট হাটলেই বায়ে মোড়। মোড়েই একটা চায়ের দোকান, তার পিছন দিকে একটু পাশেই একটা পান-সিগারেটের দোকান। মনে হয়না এদের সময়ের সাথে কোন সম্পর্ক আছে। কোন দিনই এদের দোকানগুলো বন্ধ দেখিনি - না মনে পড়ে না - হয়তোবা এরা বাপ-বেটা অথবা ভাই-ভাই মিলে দুই শিফটে দোকান চালায়। বসে কাঁচা পাতি মিশিয়ে এক কাপ চা খেয়ে একটা সিগারেট ধরালাম। ভাবছি আমার সাথে কি সময়ের কোন টানাপোড়ন বা সম্পর্ক আছে। রাত তো দু'টো; আমি কেন বিছানায় নেই? কেন আমি রাতের তারা গুনছি? কোথাকার রাস্তা পায়ে হেটে পেরুতে ক'মিনিট লাগছে সে সময়টাকে কেন আমি ধরে রাখছি? ........... না; উত্তর জানা নেই; হয়তোবা সাথে থাকা একটা কলম, কিছু কাগজ, ছোট কিছু লেখার জন্য একটা প্যাড, একটা ডিজিটাল এস.এল.আর ক্যামেরা!!!
সময় একাই চলছে; আমাকে টানছে না। একাই চলছে কারণ 'সময় নদীর স্রোতের মত বয়ে চলে'; আমার জন্য কেনইবা থেমে থাকবে; সময় কি থেমে ছিল কখনও। তাই সময় আমার সাথে নেই; পথ চলছি একাই; সামনের রাস্তাটা এখন অস্পষ্ট; ধীরে ধীরে দূরে হারিয়ে গেছে................ আমিও হারিয়ে যাই.........

Thursday, May 5, 2011

হতে চাই পাখি

প্রতিদিন পাখি ডাকে
পাখি গান গায়,
পাখির মতো হতে
মন শুধু চায়।
পাখিদের ডাক শুনে
ঘুম থেকে উঠি,
দেখি ওরা গান গেয়ে
করে ছুটা ছুট।

Wednesday, May 4, 2011

চতুর্মাত্রিকে লিখেছেন পৃথিলা

অপয়া....

 - পৃথিলা



আমি হয়ত অপয়া,
আমার হাতে শুধুই ধ্বংস,
সৃজনের সাথে আমার আজন্ম শত্রুতা।
মুখ ফিরিয়ে রই একে অন্য থেকে।
মধ্যবর্তী ব্যাবধান?......
যোজন যোজন দূর......।।
আমি অপয়া,তাই
কোথাও কোনও ভালর সাথে
আমার সম্পর্ক নেই।
সৃষ্টির উৎসবে যখন মেতে ওঠো তুমি,
আমি তাই দূর থেকে
অপলক চেয়ে থাকি।
তোমার আনন্দ আমাকেও ছুঁয়ে দিয়ে যায়।
আর কানে কানে বলে দিয়ে যায়...
ওখানে যেও না তুমি...
এই নির্মল আনন্দ,
এই শুভ সৃজন মেলা,
এই নতুনের গান,
ধ্বংস করার অধিকার তোমার নেই।
আমি যাই না তোমার কাছে তাই...
শুধু দূর থেকে দেখে দেখে দু চোখ জুড়াই।
আমি অপয়া,কিন্তু
আমি অপয়া হতে চাই নি।
আমি চেয়েছিলাম সৃজনের বন্ধু হতে।
তোমার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে
নতুনের উল্লাসে মেতে উঠতে।
বলতে পার,আমি আজ অপয়া কেন?
কেন আমি তোমাদের কেউ নই?
জানি তুমি বলতে পারবে না...
কারণ এ প্রশ্নের
কোন উত্তর তোমার কাছে নেই।
আমিও একটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ফিরি...
চারপাশের এই মুখরতার মাঝে
আমি এত নিঃসঙ্গ কেন?
কেন আমার চারপাশ
আজ এত নিঃসঙ্গতায় মুখর???

যদি হাসতে ইচ্ছে করে...

এক লোকের তিনটি মেয়ে ছিল। তিনটি মেয়েই ছিল তোতলা। তোতলার জন্য তিন বোনের বিয়ে হতনা। অবশেষে তিন মেয়ের বাবা তাঁর মেয়েদের বলল যে, এবার বর পক্ষ দেখতে এলে তোমরা তাদের সাথে কথা বলবেনা শুধু কাগজ কলমে লিখে দেখাবে। এবার কোন এক বর পক্ষ লোকটির বড় মেয়েকে দেখতে এসে মেয়েটিকে প্রশ্ন করলঃ ‘মা তোমার নাম কি? তখন মেয়েটি চট করে বলে ফেলল- টটা আমি টটি পাড়বো না কিন্তু লেটা আমি লেটে দিতে পাডবো’। এই কথা শুনে মেঝ বোন বাসার ভেতর থেকে বলে ফেলল- ‘টে বু টাব্বা না তোর কটা বলতে মানা কটতে। এবার বড় বোন ও মেঝ বোনের কথা শুনে ছোট বোন বলে ফেলল- টুমরা ডুইডন যা বলছো টব আমি টুনছি। টাব্বা এলে আমি কটা ডিবানি।’
এতক্ষনে বর পক্ষ বুঝতে পারল যে, এই লোকের তিন মেয়েই তোতলা। তাই তারা বিয়ে না করে শূন্য হস্তে ফিরে গেল।

কেমন আছি আমি

যখন আমি ছিলাম আমার। তখন সবই ছিল; সবাই ছিল; ছিলেনা শুধু তুমি। তবে বেশ ভালই ছিলাম। তখন ভাল ঘুম হতো; নিয়মিত খাওয়া হতো; খেলতে যেতাম এমনকি অতি অপছন্দের লেখাপড়াও করেছি অনেক অনেক ভালোভাবে।
একসময় আমার পৃথিবী জুড়ে তুমি এলে। সব ভালোর মধ্যে যে খারাপগুলো ছিল সেগুলোও ঠিক করে দিয়েছিলে। তখন আমি সব ছেড়ে হয়ে গেলাম শুধুই তোমার। তখনও ছিলাম ভালো।
এখনও তুমি আছো। হৃদয় জুড়ে নয়; সারাটা সময় জুড়ে। রান্না ঘরে; শোবার ঘরে; সারা বাড়িতে এমনকি অফিসে মোবাইল করেও তুমি তোমার প্রাণ ভোমরার খোঁজ নিচ্ছ। কোথায় নেই তুমি। কি কি বাজার করতে হবে; কখন খেতে হবে; কখন অফিসে যেতে হবে; কখন ঘুমাতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি সবখানে শুধুই তুমি। সবশেষে বড় নিঃশ্বাস নিয়ে তোমায় জানাই; সবই ঠিক আছে শুধু ভাল নেই আমি।

Monday, April 25, 2011

তোমাকে বলছি

আমি কি চেয়েছি তোমায়;
তুমিই চেয়েছিলে।
আমি দূরেই ছিলাম;
তুমিই ডেকেছিলে।
আমি বন্ধু ভেবেছিলাম
তুমি ভালোবাসা শেখালে।
ভালবাসার সমীকরণ;
তুমি কি জানো? অবশেষে আমি জেনেছি।
আজ তুমি অ-নে-ক দূরে;
আর... আমি আছি বিরহে পুড়ে।