Thursday, May 5, 2011

হতে চাই পাখি

প্রতিদিন পাখি ডাকে
পাখি গান গায়,
পাখির মতো হতে
মন শুধু চায়।
পাখিদের ডাক শুনে
ঘুম থেকে উঠি,
দেখি ওরা গান গেয়ে
করে ছুটা ছুট।

Wednesday, May 4, 2011

চতুর্মাত্রিকে লিখেছেন পৃথিলা

অপয়া....

 - পৃথিলা



আমি হয়ত অপয়া,
আমার হাতে শুধুই ধ্বংস,
সৃজনের সাথে আমার আজন্ম শত্রুতা।
মুখ ফিরিয়ে রই একে অন্য থেকে।
মধ্যবর্তী ব্যাবধান?......
যোজন যোজন দূর......।।
আমি অপয়া,তাই
কোথাও কোনও ভালর সাথে
আমার সম্পর্ক নেই।
সৃষ্টির উৎসবে যখন মেতে ওঠো তুমি,
আমি তাই দূর থেকে
অপলক চেয়ে থাকি।
তোমার আনন্দ আমাকেও ছুঁয়ে দিয়ে যায়।
আর কানে কানে বলে দিয়ে যায়...
ওখানে যেও না তুমি...
এই নির্মল আনন্দ,
এই শুভ সৃজন মেলা,
এই নতুনের গান,
ধ্বংস করার অধিকার তোমার নেই।
আমি যাই না তোমার কাছে তাই...
শুধু দূর থেকে দেখে দেখে দু চোখ জুড়াই।
আমি অপয়া,কিন্তু
আমি অপয়া হতে চাই নি।
আমি চেয়েছিলাম সৃজনের বন্ধু হতে।
তোমার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে
নতুনের উল্লাসে মেতে উঠতে।
বলতে পার,আমি আজ অপয়া কেন?
কেন আমি তোমাদের কেউ নই?
জানি তুমি বলতে পারবে না...
কারণ এ প্রশ্নের
কোন উত্তর তোমার কাছে নেই।
আমিও একটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ফিরি...
চারপাশের এই মুখরতার মাঝে
আমি এত নিঃসঙ্গ কেন?
কেন আমার চারপাশ
আজ এত নিঃসঙ্গতায় মুখর???

যদি হাসতে ইচ্ছে করে...

এক লোকের তিনটি মেয়ে ছিল। তিনটি মেয়েই ছিল তোতলা। তোতলার জন্য তিন বোনের বিয়ে হতনা। অবশেষে তিন মেয়ের বাবা তাঁর মেয়েদের বলল যে, এবার বর পক্ষ দেখতে এলে তোমরা তাদের সাথে কথা বলবেনা শুধু কাগজ কলমে লিখে দেখাবে। এবার কোন এক বর পক্ষ লোকটির বড় মেয়েকে দেখতে এসে মেয়েটিকে প্রশ্ন করলঃ ‘মা তোমার নাম কি? তখন মেয়েটি চট করে বলে ফেলল- টটা আমি টটি পাড়বো না কিন্তু লেটা আমি লেটে দিতে পাডবো’। এই কথা শুনে মেঝ বোন বাসার ভেতর থেকে বলে ফেলল- ‘টে বু টাব্বা না তোর কটা বলতে মানা কটতে। এবার বড় বোন ও মেঝ বোনের কথা শুনে ছোট বোন বলে ফেলল- টুমরা ডুইডন যা বলছো টব আমি টুনছি। টাব্বা এলে আমি কটা ডিবানি।’
এতক্ষনে বর পক্ষ বুঝতে পারল যে, এই লোকের তিন মেয়েই তোতলা। তাই তারা বিয়ে না করে শূন্য হস্তে ফিরে গেল।

কেমন আছি আমি

যখন আমি ছিলাম আমার। তখন সবই ছিল; সবাই ছিল; ছিলেনা শুধু তুমি। তবে বেশ ভালই ছিলাম। তখন ভাল ঘুম হতো; নিয়মিত খাওয়া হতো; খেলতে যেতাম এমনকি অতি অপছন্দের লেখাপড়াও করেছি অনেক অনেক ভালোভাবে।
একসময় আমার পৃথিবী জুড়ে তুমি এলে। সব ভালোর মধ্যে যে খারাপগুলো ছিল সেগুলোও ঠিক করে দিয়েছিলে। তখন আমি সব ছেড়ে হয়ে গেলাম শুধুই তোমার। তখনও ছিলাম ভালো।
এখনও তুমি আছো। হৃদয় জুড়ে নয়; সারাটা সময় জুড়ে। রান্না ঘরে; শোবার ঘরে; সারা বাড়িতে এমনকি অফিসে মোবাইল করেও তুমি তোমার প্রাণ ভোমরার খোঁজ নিচ্ছ। কোথায় নেই তুমি। কি কি বাজার করতে হবে; কখন খেতে হবে; কখন অফিসে যেতে হবে; কখন ঘুমাতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি সবখানে শুধুই তুমি। সবশেষে বড় নিঃশ্বাস নিয়ে তোমায় জানাই; সবই ঠিক আছে শুধু ভাল নেই আমি।